আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এপ্রিল থেকেই ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে ভারতের আসাম রাজ্য। একের পর এক বন্যায় পানির নিচে চলে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশাল এলাকা, সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এই বছরের বন্যায় রাজ্যটিতে অন্তত ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বন্যার কারণে এখনো নিখোঁজ ৩৭ জন। রাজ্যের ইতিহাসে এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর আগে বিশেষ হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসের
আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯টি মৃত্যু হয়েছে ধসের জেরে। রাজ্যের ইতিহাসে বন্যার জেরে মৃত্যুর নিরিখে এটি অন্যতম বড় ঘটনা। এপ্রিলের পর থেকে প্রায় ৮৯ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছিলেন। এই সংখ্যাটি রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
সরকারি হিসাব অনুসারে রাজ্যের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩৪টি জেলাই বন্যার কবলে পড়েছিল। এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৮৩৭টি গবাদি পশুর মৃ্ত্যু হয়েছে। ২ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমি পানির নিচে চলে গিয়েছিল।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরে ৭ লাখ ৪২ হাজার ২৫০ জন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের টিম ৯৮ হাজার ৫০৯ জন মানুষকে উদ্ধার করেছিল।
বন্যা ও ধসে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছর থেকে আমরা একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। গৃহস্থালী জিনিসপত্র কেনার জন্য় তাদের আমরা ৩৮০০ টাকা করে দেব। এখনও পর্যন্ত ১৮১,৮৫৯ পরিবারের ব্যাংক অ্য়াকাউন্টে এই টাকা ঢুকে গিয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের বই কেনার জন্য হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।